বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন বলেছেন, প্রেমিকের সঙ্গে সব ছবিতেই অভিনয় করার ইচ্ছে খুবই অবান্তব। পরিচালক সব দিক বিবেচনা করে, আর ভেবেচিন্তে চরিত্রের জন্য উপযুক্ত অভিনেতাকেই বেছে নেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২০০৯ সালে সাড়া ফেলেছিল ইমতিয়াজ আলির সিনেমা ‘লাভ আজকাল’। এ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন ও বাংলার নবাব সাইফ আলি খান। এ ছবিতে তাদের রসায়নও মনে ধরেছিল সিনেমাপ্রেমীদের। কিন্তু এ ছবিতে অভিনয় করতে না পারায় আক্ষেপ ছিলেন অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। সেই সময় সাইফের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন কারিনা।
দীপিকা অভিনীত চরিত্রটি হাতছাড়া হওয়ায় গণমাধ্যমেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কারিনা কাপুর। এমনকি এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানেও এ কথা বলেছিলেন তিনি। বিষয়টি সেই সময় ভালোভাবে নেননি ছবির পরিচালক ইমতিয়াজ।
পরে এক সাক্ষাৎকারে কারিনার আক্ষেপে দীপিকা মন্তব্য করেছিলেন— আমি এ বিষয় কিছুই জানি না। সাইফের সঙ্গেও এ নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি। কিন্তু আমি জানি, এ চরিত্রের জন্য ইমতিয়াজ বরাবর আমাকেই চেয়েছিলেন। তাই সেটিই হয়েছে।
দীপিকা আরও বলেন, প্রেমিকের সঙ্গে সব ছবিতেই অভিনয় করার ইচ্ছা খুবই অবান্তব। পরিচালক সব দিক ভেবেচিন্তে চরিত্রের জন্য উপযুক্ত অভিনেতাদের বেছে নেন। এ অভিনেত্রী বলেন, আমি কখনই আশা করি না, যে ছবিতেই অভিনয় করব, সেখানে আমার প্রেমিককে সহ-অভিনেতা হিসাবে পাব। এটি হাস্যকর। অভিনেতা হিসাবে আমাকে বহু মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হবে। পরিচালক তার চরিত্রের কথা মাথায় রেখেই অভিনেতা নির্বাচন করেন। তাই আমার সব ছবিতেই সহ-অভিনেতা হিসাবে আমি প্রেমিককেই পাব— এই ভাবনা খুবই হাস্যকর এবং অবান্তর।
অন্যদিকে শোনা যায়, সাইফ আলি খানও নাকি চেয়েছিলেন—এই চরিত্রে কারিনাকেই নেওয়া হোক। কিন্তু ইমতিয়াজ প্রথম থেকেই দীপিকাকে চেয়েছিলেন। তাই পরিচালকের সিদ্ধান্তের সঙ্গেও সহমত ছিলেন তিনি।
সূত্র: আনন্দবাজার
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।